আবুল হাশেম,রাজশাহী প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় পদ্মা নদীর পানি আবারও বাড়তে শুরু করেছে। একইসঙ্গে অব্যাহত রয়েছে নদীপাড়ের ভাঙনও। এতে এ উপজেলার চকরাজাপুর ও পাকুড়িয়া ইউনিয়নের বহু আবাদি জমি ও বসতভিটা একের পর এক তলিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ও পড়েছে হুমকির মুখে। এরই মধ্যে এ ইউনিয়নের একটি স্বাস্থ্যসেবা ক্লিনিক নদীভাঙনে বিলিন হয়ে গেছে। ভাঙনের কারণে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
রবিবার ৫ আগস্ট সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পদ্মার ভাঙন ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। গত কয়েকদিন ধরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১১ হাজার ২৮৪টি বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। উজান থেকে নেমে আসা ঢলে পদ্মার বাঘা পয়েন্টে পানি চলতি সপ্তাহে দ্বিতীয় দফায় বাড়তে শুরু করেছে। ফলে স্রোতের তীব্রতা বেড়েছে। এতে চকরাজাপুর ও পাকুড়িয়া ইউনিয়নের চরাঞ্চলের গ্রাম এলাকায় ভাঙ্গনের তীব্রতা কয়েকগুণ বেড়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ফেলা শুরু করেছে। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবগত করা হলে তারা জিও ব্যাগ ফেলে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় ও গ্রাম রক্ষার চেষ্টা চালাচ্ছেন। চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল আযম বলেন,বর্তমানে চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় পদ্মার ভাঙনের হুমকির মুখে পড়েছে। এরইমধ্যে ইউনিয়নের একটি স্বাস্থ্যসেবা ক্লিনিক পদ্মার ভাঙ্গনে বিলিন হয়ে গেছে। পদ্মার পানি বেড়ে এখন বিপদসীমার কাছাকাছি চলে এসেছে। পানি বাড়ার কারণে বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। তিনি নিজে ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানান, ভাঙনের বিষয়টি রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবগত করা হয়েছে। পরে পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ফেলে গ্রাম রক্ষা করার চেষ্টা করছে।
রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশল বিভাগের শাখা কর্মকর্তা মাহাবুব রাসেল গণমাধ্যমকর্মীদের জানান,ভাঙ্গনের কারণে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই ২০০ মিটার এলাকায় ১১ হাজার ২৮৪টি জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। ভাঙ্গন প্রতিরোধে কাজ অব্যাহত রয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।